আমের মৌসুমের শুরুতে যে আমটির সুঘ্রান আম্রকাননের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে অর্থাৎ যে আমটি সবার আগে পাঁকে সেটি হলো গোপালভোগ আম । গোপলভোগ অর্থ গোপালের ভোগ, মূলত হিন্দু ধর্মালম্বীরা ঈশ্বর এর খাবারের প্রিয় ফলের সাথে তুলনা করে নাম করণ করেন। অতি সুমিষ্ট স্বাদে অনন্য নিদর্শন এই আম।বাংলাদেশে উৎকৃষ্ট জাতের আমগুলোর মধ্যে গোপালভোগ অন্যতম। গোপালভোগ আম দেশের প্রায় সব জেলাতে দেখতে পাওয়া যাই ।উৎকৃষ্ট শ্রেনির গোপালভোগ আম জন্মে থাকে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোরে ।বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের মালদহ মুর্শিদাবাদ উওর প্রদেশে গোপালভোগ আম জন্মে থাকে ।
গোপালভোগ আম মাঝারি আকৃতির লম্বা এবং আনেকটাই গোলাকার, ফলের বুক মাঝারি, কাঁধ উচু ফলটি গড়ে লম্বাই ৮.৬ সে.মি, ফলের ওজন ২০৮.০ থেকে ৫০০ গ্রাম পযন্ত হয়ে থাকে, ২ টা থেকে ৪ টা আমে ১ কেজি হয়ে থাকে । মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে অথাৎ জৈষ্ঠ মাসের প্রথম থেকে পাঁকতে শুরু করে এই আম ।
গোপালভোগ আম চিনার উপায় আমটির বোটা শক্ত, পাকার সময় বোটার আসে পাশের অংশ হলুদ রং ধারণ করে । আমটির আঁশ নেই, এই আমটি অনেক স্বাদযুক্ত ও সু-মিষ্ট । মিষ্টির গড় ২২.৬% গোপালভোগ আম বাণিজ্যিক ভাবে অত্যন্ত লাভ জনক একটি ফল ।ভিটামিন-এ প্রচুর পরিমানে থাকার কারণে রাতকানা ও অন্ধত্ব প্রতিরোধে এই পাকা আম এমনকি কাঁচা আম মহৌষধ হিসেবেও ব্যবহার হয়ে থাকে । তাছাড়াও রয়েছে ক্যারোটিন, ভিটামিন-সি, খনিজ পদার্থ ও ক্যালোরি । একটি গোটা বা অর্ধেক গোপাল ভোগ আমে যে পরিমান পুষ্টিগত মান পাওয়া যায় তা একজন মানুষকে সুস্থ রাখতে এবং পুষ্টিগত মানের অভাব পূরণে বিশেষ ভাবে ভূমিকা রাখে